নেপোলিয়নের সংস্কার । Reforms of Napoleon in bengali

নেপোলিয়নের সংস্কার ( Reforms of Napoleon ) 

নেপোলিয়নের সংস্কার বা Reforms of Napoleon ফ্রান্স তথা ইউরোপের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে ডাইরেক্টরি শাসনের সময়কালে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল সেখানে যোগ্যতম শাসক হিসেবে নেপোলিয়ন ছিলেন প্রত্যাশিত। 

ফ্রান্সে ডাইরেক্টরি শাসনকে ভেঙ্গে দিয়ে কনসুলেট নামক শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট।

নেপোলিয়ন ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি ফ্রান্সকে নতুনভাবে গড়তে সক্ষম ছিলেন। ফ্রান্সে নেপোলিয়নের খ্যাতি একজন সুশাসক, দক্ষ সামরিক প্রতিভাধর, কূটনীতিক রূপে ছড়িয়ে পড়েছিল।

১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে ভূমধ্যসাগরের কর্সিকা দ্বীপে নেপোলিয়নের জন্ম হয়।

পিতার নাম ছিল কার্লো বোনাপার্ট ও মাতা লেটিজিয়া বোনাপার্ট। ভলতেয়ার, রুশো, মন্তেস্কু প্রমূখ ফরাসি চিন্তাবিদদের আদর্শে নিজেকে তিনি গড়ে তোলেন।

ছিলেন জ্যাকোবিন দলের সমর্থক।

১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে উত্তেজিত এক জনতার ভিড়কে সেনাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে ছত্রভঙ্গ করে ডাইরেক্টরির নজরে আসেন।

পরবর্তীকালে এই ডাইরেক্টরিকে সরিয়ে দিয়ে নিজের কনসুলেটের শাসনের মাধ্যমে ফ্রান্স শাসন করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইসাথে নেপোলিয়নের ফ্রান্সে অভ্যন্তরীণ সংস্কারে মনোনিবেশ ঘটে।

 

কনসুলেটের শাসনতন্ত্র 

ডাইরেক্টরির পতনের পর একটি নুতন শাসনতন্ত্র  প্রয়োজন হয়। সেই শাসনতন্ত্র গঠনের জন্য রচিত হয় একটি সংবিধান।

এই সংবিধানের শাসনতন্ত্র অনুসারে ১০ বছরের জন্য তিনজন কনসাল-কে মনোনীত করা হয়। এই তিন কনসালের মধ্যে নেপোলিয়ন ছিলেন প্রথম কনসাল।

আর অপর দুইজন কনসাল নেপোলিয়নের সহযোগী হিসেবে নির্বাচিত হন।

বস্তুত প্রথম কনসাল অর্থাৎ নেপোলিয়নের হাতেই শাসনভার প্রদান করা হয়েছিল। মন্ত্রী ও কর্মচারী নিয়োগ, যুদ্ধঘোষণা, শান্তিস্থাপন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ প্রভৃতি সকল ক্ষমতা নেপোলিয়নের হাতেই ন্যস্ত ছিল।

তবে নেপোলিয়ন নিজের কাজের জন্য আইনসভার কাছে দায়ী ছিলেন না।

কনসুলেটের সংবিধান অনুসারে আইনসভাকে ভেঙ্গে চারটি ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা হয়। এগুলি ছিল- সেনেট, কাউন্সিল অফ স্টেট, লেজিসলেটিভ বডি এবং ট্রিবিউনেট। 

নেপোলিয়নের শাসন সংস্কার ( Reforms of Napoleon )

নেপোলিয়ন কনসাল পদে আসীন হয়ে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ সংস্কারকার্যে মনোনিবেশ করেন। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারে তিনি ব্রতী হন।

1) কেন্দ্রীয় নীতি

নেপোলিয়ন তাঁর শাসন সংস্কারের কাজে কিছু দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মনোনীত করে ফ্রান্সের প্রদেশগুলির ওপর কেন্দ্রীয় নীতি বলবৎ করেন।

১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে সংবিধান সভার আমলে ফ্রান্সকে ৮৩ টি ডিপার্টমেন্ট বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।

আর এইকারণে প্রদেশগুলির ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়।

নেপোলিয়ন প্রিফেক্ট, সাব-প্রিফেক্ট নামক প্রদেশ-জেলার শাসনকর্তাদের নিয়োগ করে প্রদেশগুলির যাবতীয় ক্ষমতা অর্পণ করেন।

এককথায় বলা যায় যে, প্রিফেক্ট প্রথার দ্বারা বিচ্ছিন্ন প্রদেশের শাসনকে নেপোলিয়ন কেন্দ্রের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেন। এইভাবে প্রদেশের সর্বত্র কেন্দ্রীয় নীতি চালু করে তিনি জাতীয় ঐক্য প্রসারিত করেন। 

আরও পড়ুন : ডাইরেক্টরি শাসন ব্যবস্থা

2) অর্থনৈতিক সংস্কার

যেকোনো দেশের মজবুত অর্থব্যবস্থা-ই সেদেশের শাসন কাঠামোর মূল চালিকাশক্তি বা ভিত্তি। নেপোলিয়ন ফ্রান্সের অর্থব্যবস্থাকে দৃঢ় করার নীতি গ্রহণ করেন।

নেপোলিয়নের অর্থনৈতিক সংস্কার তাঁর শাসন সংস্কারের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। রাজা ষোড়শ লুইয়ের সময় থেকেই ফ্রান্সের অর্থব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল।

তার ওপর ডাইরেক্টরির দুর্নীতির ফলে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক বিপর্যয় আরো প্রকট হয়ে পড়ে। এই অবস্থা অবসানের জন্য নেপোলিয়ন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ব্যাঙ্ক অফ ফ্রান্স প্রতিষ্ঠা করেন।

ব্যাঙ্ক নোট ছাপাবার অধিকার পায়। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণদানেরও ব্যবস্থা করা হয়। যার ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটে।

নেপোলিয়ন সরকারি ব্যয় কমানোর নির্দেশ দেন, সেইসাথে সরকারি ব্যয়ের হিসেব পরীক্ষা করার দায়িত্বও নিজের হাতে নেন। এছাড়াও নিয়মিত কর আদায়ের ব্যবস্থা করেন।

এই নিয়মিত কর আদায়ের ফলে সরকারের অর্থ সঙ্কট দূর হয়। এইভাবে বহুকাল পরে নেপোলিয়নের হাত ধরে ফ্রান্সের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। 

3) আইন সংস্কার : কোড নেপোলিয়ন

নেপোলিয়নের গৌরবজনক সংস্কার হোলো ফ্রান্সে আইন সংস্কার তথা কোড নেপোলিয়ন ( Code Napoleon ) নামক আইন বিধির প্রবর্তন।

এই কোড নেপোলিয়ন কি ?

ফরাসি বিপ্লবের পর ফ্রান্সে অনেক আইন বলবৎ করা হয়েছিল। কিন্তু আইনগুলির মধ্যে কোনোপ্রকার সামঞ্জস্য ছিল না।

তাই সেই আইনগুলিকে সংকলন ও পরিমার্জনা করে অভিজ্ঞ আইনবিদদের দ্বারা নেপোলিয়ন কোড নেপোলিয়ন নামে এক আইনবিধির প্রচলন করেন।

মূলত কোড নেপোলিয়ন হোলো, ফ্রান্সের জ্ঞানদীপ্তির যুগের প্রাকৃতিক আইনের সাথে ফ্রান্সের প্রথাগত ও বিপ্লবী আমলের আইনবিধির সামঞ্জস্য সাধন করা।

ট্রনসেট নামে একজন অভিজ্ঞ আইনবিদ কোড নেপোলিয়ন গঠনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সহজ, সরল ভাষায় রচিত কোড নেপোলিয়নে সর্বমোট ২২৮৭ টি ধারা ছিল। এই আইন অনুসারে –

ক) আইনের চোখে সকলের সমান অধিকার স্থাপন হয়। 

খ) একমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতেই নাগরিকদের চাকরির অধিকার দেওয়া হয়। 

গ) কোড নেপোলিয়ন অনুসারে, ভূমিদাস প্রথা, কর্ভি, টাইদ প্রভৃতি শোষণের অবসান ঘটে। 

ঘ) পিতাকে পরিবারের সর্বময় কর্তা ও সকল ক্ষমতার অধিকার দেওয়া হয়। 

ঙ) এই আইনবিধি অনুসারে স্ত্রীদের সম্পূর্ণভাবে স্বামীর রক্ষাধীন করা হয়। সেইসাথে স্বামীর অনুমতি ছাড়া সম্পত্তির কেনাবেচা স্ত্রীদের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 

চ) বিচার ব্যবস্থায় জুরি প্রথা বহাল রাখা হয়। 

আরও পড়ুন : শিবাজি ও মারাঠা শক্তির উত্থান

নেপোলিয়নের সামাজিক সংস্কার ( Reforms of Napoleon )

ফ্রান্সে নেপোলিয়নের অভ্যন্তরীণ সংস্কার হিসেবে সামাজিক সংস্কার গুলি নিম্নরূপ। 

1) ফ্রান্সে শিক্ষাসংস্কার

সমাজকে চালিত করে সুশিক্ষা ব্যবস্থা। তাই সামাজিক সংস্কার রূপে নেপোলিয়ন ফ্রান্সে শিক্ষার সংস্কার করেন।

কারণ নেপোলিয়নের লক্ষ্য ছিল সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত সুনাগরিক তৈরী করা।

ফ্রান্সে শিক্ষা প্রসারের জন্য লিসে বা সরকারি বিদ্যালয়, গ্রামার স্কুল বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেপোলিয়ন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে ল্যাটিন ভাষা শিক্ষা আবশ্যিক করা হয়। সেইসাথে বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। নেপোলিয়নের আমলে ফরাসি ভাষার প্রসার ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।

নেপোলিয়নের ধারণা ছিল যে, কারিগরি বিদ্যার অধিকারী, চিকিৎসক, সু প্রশাসক সৃষ্টি করাই হবে শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য।

তাই নেপোলিয়ন বহু কারিগরি বিদ্যালয়েরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমগ্র ফ্রান্সে যাতে একই নীতি অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তার জন্য ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

2) ফ্রান্সে ধর্ম সংস্কার

ফ্রান্সে ধর্ম সংস্কার নেপোলিয়নের অন্যতম একটি সংস্কার রূপে বিবেচিত হয়। নেপোলিয়নের ধর্ম সংস্কারটি মীমাংসা নীতি বা ইংরেজিতে Concordat নামে পরিচিত।

আসলে নেপোলিয়নের সামনে রোমান ক্যাথলিক গীর্জার সাথে আপোস রফার বিষয়টি ছিল এক জটিল সমস্যা।

কিন্তু নেপোলিয়ন দক্ষতার সাথে সমস্যার সমাধান করেন। ফরাসি বিপ্লবের সময় রচিত ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দের Civil Constitution of the clergy নামক আইনটির দ্বারা পোপের ক্ষমতার লোপ করা হয়।

এই আইনটির প্রতি ফ্রান্সের ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিকরা অসন্তুষ্ট হয়েছিল। তবুও খ্রিস্টান জগতে পোপের যথেষ্ট প্রতিপত্তি থাকায় নেপোলিয়ন পোপের সাথে সদ্ভাব গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন।

অবশেষে নেপোলিয়ন এক ধর্ম মীমাংসা চুক্তিতে আবদ্ধ হন।

চুক্তিতে বলা হয় যে, ফ্রান্সের গীর্জার বিশপরা রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত হলেও চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন কিন্তু পোপ স্বয়ং।

বিপ্লবের সময় গীর্জার বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি পুনরায় গীর্জাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সমগ্র ফ্রান্সে ক্যাথলিক ধর্মই বজায় থাকে।

3) জনহিতকর কাজ

সামাজিক সংস্কারের মধ্যে নেপোলিয়নের কিছু জনহিতকর কাজও বেশ উল্লেখযোগ্য। জনহিতকর কাজের প্রতি নেপোলিয়নের আগ্রহ কম ছিল না।

ফ্রান্সের প্রাচীন স্মৃতি সৌধগুলির সংস্কার করেন তিনি। তাছাড়া অনেক নতুন সৌধও নেপোলিয়ন নির্মাণ করেন।

ফ্রান্সে বিশ্ববিদ্যালয়, চিত্রসংগ্রহশালা, জাদুঘর স্থাপন করা হয়। ফ্রান্সের লুভর ( Louvre ) জাদুঘরকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাদুঘরে উন্নীত করেন নেপোলিয়ন।

বহু নতুন রাস্তা নির্মাণের ফলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য গতিময় হয়ে ওঠে।

এইসময় নেপোলিয়ন লিজিয়ন অফ অনার ( Legion of Honour ) নামক এক উপাধির প্রবর্তন করেন।

রাষ্টের প্রতি আনুগত্য এবং অন্যান্য যোগ্যতার পুরস্কার স্বরূপ এই সম্মান দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। বর্তমানে এই উপাধি চালু আছে।    

সংস্কারগুলির সুফল ও কুফল

1) সংস্কারের সুফল   

ফ্রান্সে নেপোলিয়নের সংস্কারগুলির সুফল পর্যালোচনা করে ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন বলেছেন, “নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সকে শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করে শান্তি স্থাপন করেন”।

ডাইরেক্টরি শাসনের দুর্নীতির ফলে ফ্রান্সে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছিল।

সেই অবস্থা থেকে নেপোলিয়ন তাঁর সংস্কারের মাধ্যমে ফ্রান্সের পুনরুজ্জীবন ঘটান।

তাঁর সংস্কারগুলি সাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই সংস্কারের ফলে ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি প্রাধান্য পায়।

আইন সংস্কারের ফলে সকলের সমান অধিকার স্থাপিত হয়। ফ্রান্সের কৃষক শ্রেণী উপকৃত হয়।

শিক্ষা সংস্কারের ফলে ফ্রান্সের জাতীয় শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটে।

সর্বোপরি বলা যায় যে, সন্ত্রাসের রাজত্বে যে অরাজকতা তৈরি হয়েছিল, নেপোলিয়ন তাঁর সংস্কারের মাধ্যমে তাকে শৃঙ্খলার রূপ দেন। 

2) সংস্কারের কুফল 

নেপোলিয়নের সংস্কারগুলি ত্রূটিমুক্ত ছিল না। ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ ছিল সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা। কিন্তু দেখা গেছে যে, নেপোলিয়ন কনসুলেটের শাসন প্রবর্তন করে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছিলেন।

ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনসভার সার্বভৌম ক্ষমতা নেপোলিয়ন নষ্ট করেন।

সকল ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করে স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছিলেন। নেপোলিয়নের আইন সংস্কারের মধ্যে অন্যতম সংস্কার ছিল কোড নেপোলিয়ন প্রবর্তন।

কিন্তু এই আইনবিধিতে শ্রমিকের অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে। শ্রমিকরা তাঁদের কাজের অধিকার, মজুরির অধিকার, ধর্মঘটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

দেখা গেছে নেপোলিয়নের সংস্কারের ফলে বুর্জোয়া শ্রেণীর স্বার্থই রক্ষা করা হয়েছিল।

এছাড়াও শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয় বিভাগে পরিণত করা হয়েছিল। এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও হরণ করা হয়। 

মূল্যায়ণ 

ডাইরেক্টরির দুর্নীতিপূর্ণ শাসনকে উৎখাত করে নেপোলিয়ন তাঁর কনসুলেটের শাসনের প্রবর্তন ও ফ্রান্সে যে সংস্কার করেন তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।

তাঁর সংস্কারের ফলে সমগ্র ফ্রান্স কর্মমুখর হয়। কিন্তু নেপোলিয়ন যে সাম্যের নীতি নেন তা বিপ্লবের উত্তরাধিকার ছিল না।

তিনি বুর্জোয়া আদর্শকেও গ্রহণ করেছিলেন। নিজে একজন জাকোবিন সমর্থক হয়ে প্রজাতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ত্যাগ করেছিলেন। তাই নেপোলিয়নকে বিপ্লবের প্রকৃত উত্তরাধিকারী বলা যায় না।    

আরও পড়ুন : ফরাসী বিপ্লবের অর্থনৈতিক কারণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!