কণিষ্ক কে ছিলেন । Kushan emperor Kanishka in bengali

কণিষ্ক কে ছিলেন ( Kushan emperor Kanishka ) 

কুষাণ সম্রাট কণিষ্ক ছিলেন ভারতে কুষাণ নামক বৈদেশিক শক্তির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাকারী।

আসলে মৌর্য পরবর্তী যুগে ভারত ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হোলো বৈদেশিক শক্তির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা।

এইসময়কালে অনুপ্রবেশকারী বিদেশী শক্তিগুলির মধ্যে ছিল গ্রীক, শক, পার্থিয় ও কুষাণরা।

এই বিদেশী শক্তিগুলির উদ্দেশ্য ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় শক্তির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভারতে স্থায়ীভাবে বাস করা। তবে এই সময়কালে প্রথম বিদেশী শক্তি হিসেবে এসেছিল ব্যাকট্রিয় গ্রীকরা।

ইউ-চি নামে মধ্য এশিয়ার একটি যাযাবর উপজাতির শাখা হোলো কুষাণরা। শকদের বিতাড়িত করে কুষাণরা আধিপত্য বিস্তার করে।

চীনা রচনাগুলি থেকে জানা যায় কুজুল কদফিস ছিলেন কুষাণ বংশের প্রথম স্বাধীন শাসক।

কুজুল কদফিসের পর কুষাণ সিংহাসনে বসেন বিম কদফিস। এবং বিম কদফিসের পর কুষাণ সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র কণিষ্ক বা প্রথম কণিষ্ক।

কুষাণ শাসকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধান কুষাণ শাসক ছিলেন এই কণিষ্ক ( Kushan emperor Kanishka )

বলা যায় ভারতীয় নরপতিদের মধ্যেও কণিষ্ক অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন নরপতি। 

তাই ভারতের ইতিহাসে কণিষ্কের কৃতিত্ব কতখানি তা জানবো এই পোস্টটির মাধ্যমে।

কুষাণ সম্রাট কণিষ্ক Kanishk

কণিষ্কের সিংহাসনে আরোহণ ( কণিষ্ক )

i) বিভিন্ন মত  

কুষাণ সম্রাট কণিষ্কের সিংহাসনে বসা নিয়ে ইতিহাসে মতপার্থক্য রয়েছে। পিতা বিম কদফিসের পর কুষাণ সিংহাসনে বসেন কণিষ্ক।

কণিষ্কের সিংহাসনে আরোহণের সাথে একটি অব্দ প্রবর্তনের সম্পর্ক আছে। তাই ঐতিহাসিকদের মধ্যে কণিষ্কের সিংহাসনে আরোহণ নিয়ে এতো মতানৈক্য।

পাশ্চাত্য পন্ডিত জে. এফ. ফ্লিট মনে করেন কণিষ্ক ৫৮ খ্রিস্টপূর্বে সিংহাসনে বসেন। আর এই সিংহাসনে বসার সময়টি বিক্রমাব্দ নামে পরিচিত হয়।

কিন্তু দেখা যায়, দুই রোম সম্রাট টিটাস ও ট্রাজান যাঁদের স্বর্ণমুদ্রার অনুকরণে কণিষ্ক সোনার মুদ্রা তৈরি করেছিলেন।

এই দুই রোম সম্রাটের শাসনকাল ছিল খ্রিস্টীয় ৭৯ অব্দ ও খ্রিস্টীয় ১১৬ অব্দের আশেপাশে। তাই বলা যায় যে, কণিষ্ক এই দুই শাসকের আগে সিংহাসনে বসেননি।

জন মার্শাল, ভিনসেন্ট স্মিথ, আর. ঘির্সম্যান-র মতো বিদেশী পন্ডিতরা আবার মনে করেন যে, কণিষ্ক সিংহাসনে বসেছিলেন ১২৫ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ।

কিন্তু ঐতিহাসিক হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী এই মতকে খণ্ডন করেছেন। তাঁর মতে এই সময়কালে রাজত্ব করেছিলেন শক মহাক্ষত্রপ রুদ্রদামন।

অন্যদিকে ফার্গুসন, ওল্ডেনবার্গ প্রমূখ ঐতিহাসিকদের মতে কণিষ্ক সিংহাসনে বসেছিলেন খ্রিস্টীয় ৭৮ অব্দে।

ii) শকাব্দ 

এই খ্রিস্টীয় ৭৮ অব্দ সময়টিই ইতিহাসে কণিষ্কের সিংহাসনে বসার সময়কাল হিসেবে স্বীকৃত।

খ্রিস্টীয় ৭৮ অব্দে কুষাণ সিংহাসনে আরোহণ করে কণিষ্ক শকাব্দ প্রচলন করেন। কণিষ্কের সিংহাসনে বসার বছরটিকে স্মরণীয় রাখতেই এই শকাব্দের প্রচলন করা হয়েছিল।

কণিষ্কের রাজ্যজয়

i) সাম্রাজ্য বিস্তার 

কণিষ্ক খ্রিস্টীয় ৭৮ অব্দে কুষাণ সিংহাসনে বসেন। এরপর কণিষ্ক প্রায় ২৩ বছর শাসন করেন।

সিংহাসনে বসেই তিনি রাজ্য বিস্তারে মন দেন। কণিষ্কের দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসনে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিশাল অংশ কুষাণ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।

হিউয়েন সাং-এর রচনা থেকে জানা যায় যে, কণিষ্ক কাশ্মীর জয় করেছিলেন।

আরও পড়ুন : মুঘল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা

ii) কণিষ্কের রাজধানী 

কাশ্মীরের পুরুষপুর বা পেশোয়ার ছিল কণিষ্কের রাজধানী। পুরুষপুর বা পেশোয়ারকে কেন্দ্র করে তিনি গান্ধার শাসন করেছিলেন, এমনটাই হিউয়েন সাং-এর রচনায় উল্লেখ আছে।

কলহনের রাজতরঙ্গিনী ( কাশ্মীরের ইতিহাস গ্রন্থ )-তেও কাশ্মীর জয়ের কথা লেখা আছে।

iii) কণিষ্ক অধিকৃত স্থানগুলি  

শক-ক্ষত্রপদের পরাজিত করে কণিষ্ক পাঞ্জাব ও মথুরা দখল করেছিলেন। হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ সমগ্র উত্তর ভারত কুষাণ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

মগধের সাথে যুদ্ধে তিনি বারাণসী অধিকার করেছিলেন। এখানেই বিখ্যাত পন্ডিত অশ্বঘোষের সান্নিধ্যে আসেন কণিষ্ক।

রাজস্থান, গুজরাট, পাটলিপুত্রেও কুষাণদের অধিকার স্থাপিত হয়। কণিষ্ক চীনের বিরুদ্ধেও যুদ্ধযাত্রা করেছিলেন।

প্রথম যুদ্ধে চীন সম্রাট হো-তির সেনাপতি প্যান-চাও কাছে কণিষ্ক পরাজিত হন। চীনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় যুদ্ধে প্যান-চাও পুত্র প্যান-চিয়াংকে পরাজিত করেন।

এর ফলে মধ্য এশিয়ার কাশগড়, ইয়ারখন্দ, খোটান পর্যন্ত কণিষ্কের রাজ্যসীমা বৃদ্ধি পায়।

কণিষ্কের শাসন ব্যবস্থা

i) শাসন ব্যবস্থার ধরণ   

কণিষ্কের সময় কুষাণ শাসন ব্যবস্থায় দ্বৈত শাসন চালু ছিল। অর্থাৎ সম্রাটের সাথে যুগ্মভাবে অন্য কোনো শাসক রাজকার্য পরিচালনা করতেন।

কুষাণ আমলের মুদ্রা, শিলালেখ-তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। কুষাণ সম্রাটরা নিজেদের দেবপুত্র বা দেবতাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করতেন।

চীনের হান বংশীয় শাসকদের থেকেই দেবপুত্র অভিধা ধারণের রীতিটি কুষাণরা রপ্ত করেছিলেন।

সম্রাট কণিষ্কের দন্ডায়মান মূর্তিটির নীচে ‘মহারাজাধিরাজ দেবপুত্র কণিষ্ক ‘ লেখাটি দেখতে পাওয়া যায়।

দেবপুত্র বা ভগবানের পুত্র অভিধাটি ব্যবহারের কারণ হোলো জনসমক্ষে সম্রাট কতটা মহান তা বোঝানো।

ii) কর্মচারীগণ 

কণিষ্কের শাসনব্যবস্থায় পরামর্শদানের জন্য বোর্ড বা পরিষদ ছিল।  

কণিষ্কের দরবার অলংকৃত করতেন অশ্বঘোষ, মাথর, চরক প্রমূখরা। মাথর ছিলেন কণিষ্কের প্রধানমন্ত্রী। চরক ও অশ্বঘোষ ছিলেন কণিষ্কের চিকিৎসক এবং ধর্মগুরু।

কণিষ্কের রাজত্বে দণ্ডনায়কমহাদণ্ডনায়ক নামক দুজন প্রশাসনিক পদের কর্মচারী ছিলেন। এদের কাজ ছিল মূলত রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার দিকটি নজরে রাখা।

কণিষ্কের প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থায় প্রদেশগুলিকে বলা হোতো ‘সত্রাপি

প্রদেশ বা সত্রাপির শাসনকর্তা হিসেবে কণিষ্ক নিযুক্ত করেছিলেন ‘ক্ষত্রপ  ‘ ও ‘মহাক্ষত্রপ নামে কর্মচারীদের।

সেইসাথে এই কর্মচারীরা যাতে বিদ্রোহী হতে না পারে সেইদিকে কণিষ্কের সতর্ক দৃষ্টি ছিল। ক্ষরপল্লন ও বনস্পর নামে দুইজন ক্ষত্রপ-মহাক্ষত্রপ কর্মচারীর নাম জানা যায়।

মথুরা, পেশোয়ার, শ্রাবস্তী, বারাণসী, সাঁচী প্রভৃতি বড়ো নগরগুলির দায়িত্বে থাকতেন ‘নাগরক ‘ নামক কর্মচারীরা।

এতো বড়ো সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার পিছনে মূল ভিত্তি ছিল সামরিক সংগঠনের।

আর এই সামরিক সংগঠনের সর্বাধিনায়ক ছিলেন স্বয়ং কুষাণ সম্রাট কণিষ্ক। বলা যায় মৌর্যদের মতো কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা ছিল না।

বরং প্রদেশ ভিত্তিক শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে সুশাসন প্রবর্তনই কুষাণ শাসনব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল।

কণিষ্কের বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ

i) বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ 

বিম কদফিস শৈব হলেও তাঁর পুত্র কণিষ্ক ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মে আস্থাশীল। মগধের সাথে যুদ্ধের সময় বিখ্যাত পন্ডিত অশ্বঘোষের সান্নিধ্য লাভ করেন কণিষ্ক।

পরে এই অশ্বঘোষের সংস্পর্শে এসে কণিষ্ক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।

বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কণিষ্ক ইতিহাসে বেশি খ্যাতি লাভ করেছেন। বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে কণিষ্ক দ্বিতীয় অশোক নামে বিখ্যাত।

একজন নিষ্ঠাবান বৌদ্ধ হওয়া সত্বেও কণিষ্কের মুদ্রায় শিব, অগ্নি, সূর্য দেবতার মূর্তি দেখা গেছে।

এটি কণিষ্কের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার দিকটিকে ইঙ্গিত করে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি একনিষ্ঠ থেকে কণিষ্ক পুরুষপুর বা পেশোয়ারে বিশাল বৌদ্ধস্তূপ নির্মাণ করেছিলেন।

ফা-হিয়েন, হিউয়েন-সাং, আরবীয় ঐতিহাসিক অলবেরুনী প্রমূখরা তাঁদের গ্রন্থেও এই বিখ্যাত বৌদ্ধস্তূপটির কথা লিখেছেন।

ii) চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি 

বুদ্ধের পরিনির্বাণের পর বৌদ্ধধর্মের গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কোন্দল আরম্ভ হয়।

কণিষ্ক এই কোন্দল দূর করার জন্য তাঁর দরবারের অন্যতম ব্যক্তি পার্শ্বের পরামর্শ অনুযায়ী কাশ্মীরে চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি বা সম্মেলন ডেকেছিলেন।

এই সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন বসুমিত্র। সহ সভাপতি ছিলেন অশ্বঘোষ।  

এই চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি থেকেই মহাযান বৌদ্ধধর্মের উৎপত্তি ঘটেছিল। কণিষ্কের নেতৃত্বে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও সন্ন্যাসীদের বিশেষভাবে সমাদর করা হয়।

সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা

কুষাণ আমলে সংস্কৃত ভাষাতেই সাহিত্য বিকশিত হয়েছিল। এর পিছনে কুষাণ বংশের শেষ্ঠ শাসক কণিষ্কের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বেশি।

বৌদ্ধ ধর্মের একান্ত অনুরাগী ছিলেন কণিষ্ক। তাই বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটাতে গিয়ে সাহিত্যের উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন।

কণিষ্কের আমলে সাহিত্য ও সেইসাথে বিজ্ঞান উচ্চ পর্যায়ে ওঠে। মূলত কণিষ্কের রাজদরবার অলংকৃত করেছিলেন বেশ কিছু প্রোথিতযশা পন্ডিত।

এর মধ্যে প্রধানতম ছিলেন কবি, দার্শনিক ও নাট্যকার অশ্বঘোষ, যিনি রচনা করেছিলেন বিখ্যাত গ্রন্থ বুদ্ধচরিত

এছাড়াও রচনা করেছিলেন সৌন্দরানন্দ, বজ্রসূচী, শারিপুত্র প্রকরণ নামের একটি নাটক।

বিখ্যাত দার্শনিক বসুমিত্র রচনা করেন মহাবিভাষামাধ্যমিক দর্শন বা শূন্যবাদের প্রবর্তন করেছিলেন নাগার্জুন।

বিজ্ঞানেরও এইসময় উন্নতি হয়। ভেষজ বিজ্ঞানের অন্যতম গ্রন্থ আয়ুর্বেদাচার্য চরক রচিত চরকসংহিতা কুষাণ সময়ের অতি মূল্যবান গ্রন্থ।

ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে চরক ছিলেন কণিষ্কের চিকিৎসক। মহর্ষি সুশ্রুত রচনা করেছিলেন সুশ্রুত সংহিতা

শল্য চিকিৎসার মূল্যবান আকর গ্রন্থ এটি। কণিষ্কের সাহিত্য, বিজ্ঞান-র প্রতি পরম পৃষ্ঠপোষকতার ফলেই সম্ভব হয়েছিল এইরূপ গ্রন্থগুলি রচনা।

শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা

i) স্থাপত্য ও ভাস্কর্য 

শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও কণিষ্ক খ্যাতিমান। স্থাপত্য ও ভাস্কর্য কণিষ্কের সময় বিশেষ মাত্রা লাভ করে।

কণিষ্কের রাজধানী পুরুষপুর বা পেশোয়ার অতুলনীয় প্রাসাদ, স্তম্ভ, স্তূপ, চৈত্য দ্বারা সুশোভিত হয়।

কণিষ্ক নির্মিত পেশোয়ারে বিশাল বৌদ্ধ স্তূপটি আজও ইতিহাসে অমলিন। কুষাণ যুগের শিল্পকলার দিকটি কণিষ্কের আমলেই বিকশিত হয়।

ii) গান্ধার ও মথুরা শিল্প 

এইসময় গান্ধার, মথুরা, তক্ষশীলা, অমরাবতী অঞ্চলে চারটি ভিন্ন ধারার শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। এদের মধ্যে গান্ধারমথুরা শিল্প ভারতীয় শিল্পরীতির অপূর্ব নিদর্শন।

গান্ধার শিল্পের মূল বিষয়বস্তু ছিল বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম। বুদ্ধের মূর্তিতে গ্রীক-রোমান ও ভারতীয় শিল্পরীতির যে সমন্বয় ঘটানো হয়েছিল তা সত্যিই জীবন্ত ও অনন্য।

বুদ্ধের মূর্তিগুলিতে পালিশ, অলঙ্করণ ও দেহ ভঙ্গিমা যোগ করে গ্রীকদেবতাদের রূপ দেওয়া হয়েছিল।

অনুরূপভাবে মথুরা শিল্পে সম্পূর্ণ ভারতীয় রীতির প্রয়োগ হয়েছিল। মথুরায় কণিষ্কের মাথাকাটা ব্রোঞ্জের মূর্তিটি ধাতুশিল্পের এক সুমহান কীর্তি।

মূল্যায়ণ   

তাই সবশেষে বলা যায় একজন শক্তিশালী সমর নায়ক, সুযোগ্য শাসক, ধর্মসহিষ্ণু, শিল্প সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক কণিষ্ক ভারতের শ্রেষ্ঠ বিদেশী সম্রাট। সেইসাথে পরবর্তীকালের গুপ্তযুগ তথা সুবর্ণযুগের যথার্থ পথপ্রদর্শক। 

আরও পড়ুন : শঙ্করাচার্য

আশা করবো এই পোস্টটি পড়ে কণিষ্ক কে ছিলেন বা কণিষ্কের কৃতিত্ব সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছো। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে তোমার মতামত জানিও। আর অবশ্যই পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার কোরো। তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। ভালো থেকো বন্ধু…..

2 thoughts on “কণিষ্ক কে ছিলেন । Kushan emperor Kanishka in bengali”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!