ভারতের ইতিহাসে কুষাণ যুগের অবদান ( Contribution of Kushan Age )
ভারতীয় ও ভারতের বাইরের সংস্কৃতির দ্বারা ভারতের ইতিহাস পরিপুষ্ট ও সমৃদ্ধ। সেক্ষেত্রে ভারতের ইতিহাসে কুষাণ যুগের অবদান স্মরণীয়।
মূলত কুষাণরা ছিল একটি বৈদেশিক শক্তি। মৌর্য শাসনের পতনের পর ভারতের কেন্দ্রীয় শাসন দুর্বল হয়ে পড়ে।
সেই সুযোগে গ্রীক, শক, কুষাণ ইত্যাদি বিদেশি শক্তিগুলি ভারতে সাম্রাজ্য স্থাপনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। মধ্য এশিয়ার ইউ-চি নামে একটি যাযাবর জাতির শাখা ছিল কুই-শুয়াং বা কুষাণরা।
কুষাণ সাম্রাজ্যর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কুজুল কদফিসেস বা প্রথম কদফিস। তাঁর ভারত আক্রমণ ও রাজ্যস্থাপন দিয়ে শুরু হয় ভারতের কুষাণ যুগ।
একে একে বিম কদফিসেস, কণিষ্ক, বাসিস্ক, হুবিষ্ক, দ্বিতীয় কণিষ্ক, বাসুদেব প্রমুখ কুষাণ শাসকদের রাজত্বকালের সাক্ষী থাকে ভারতবর্ষ।
এই রাজত্বকাল ইতিহাসে কুষাণ যুগ নামে খ্যাত।
সম্রাট কণিষ্কের আমলেই কুষাণ যুগ সবদিক থেকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছয়।
কুষাণ নামক বিদেশি জাতিটির ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে অবদান কতখানি ? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য কৌতূহল হওয়াটা স্বাভাবিক।
সেই কৌতূহল মেটাতে পুরো পোস্টটি অবশ্যই পড়তে হবে।
নিম্নলিখিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানগুলি লক্ষ্য করা যায়।
রাষ্ট্রীয় ঐক্য ( Kushan age contribution )
মৌর্যরা একসময় ভারতের কেন্দ্রীয় শক্তি ছিল। মৌর্যবংশের নেতৃত্বে ভারতে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পর মৌর্য সাম্রাজ্যে ভাঙন দেখা দেয়।
সংহতি, ঐক্য নষ্ট হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় শক্তির এই দুর্বলতার সুযোগে কিছু বিদেশী শক্তি ভারত আক্রমণ ও দখল করে।
এইরকমই এক বিদেশী শক্তি ছিল কুষাণরা। মৌর্য পরবর্তী যুগ এক অন্ধকারময় যুগ। সেই অন্ধকারকে কাটিয়ে কুষাণ রাজারা ভারতে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেন।
কুষাণরা ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে মিশে গিয়েছিলেন।
কুষাণরা ভারত থেকে সাম্রাজ্য মধ্য এশিয়ার খোটান ও অন্যদিকে রোমান সাম্রাজ্যের সীমা পর্যন্ত বিস্তার করে।
আর দেশের ভেতরে পূর্ব বিহার পর্যন্ত সাম্রাজ্য স্থাপিত হয়। তাই কুষাণদের হাতে এদেশের শাসনদন্ড থাকলেও, তাঁরা রাষ্ট্রীয় ঐক্য বজায় রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন : হিউয়েন সাং কে ছিলেন
বাণিজ্যে অবদান
i) কুষাণদের বাণিজ্য
অজানাকে জানতে দূরদেশে পাড়ি দেওয়ার আকাঙ্খা ভারতীয়দের স্বভাবজাত। আর তাতে কুষাণরাই বা পিছিয়ে থাকবে কেন। কারণ তাঁরাও তো ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে মিশে গিয়েছিল।
মৌর্যত্তর যুগে বাণিজ্য যথেষ্ট উন্নত হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় বাণিজ্যই।
ব্যবসা – বাণিজ্যের মাধ্যমে কুষাণ সম্রাটগণ মিশর, রোম, চীন, জাপান, মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলেন।
এই বাণিজ্য চলতো সমুদ্রপথে ও স্থলপথে। চীন ও রোম সাম্রাজ্যের মধ্যে বাণিজ্যে বেশ বাধা ছিল।
এই দীর্ঘ পথের বেশিরভাগ এলাকাই ছিল পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের শাসনাধীন। এদিকে চীনের উৎপাদিত রেশমের ( silk ) রোমের বাজারে চাহিদা ছিল ব্যাপক।
এইসময় পশ্চিম ও মধ্য এশিয়া ও সেইসাথে উত্তর পশ্চিম ভারতে কুষাণদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কুষাণ শাসক বিম কদফিসের নেতৃত্বে ব্যবসা বাণিজ্যের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।
ii) রেশম পথ বা সিল্ক রুট
কুষাণ সম্রাটদের তৎপরতায় চীনের প্রান্ত থেকে রোম সাম্রাজ্য পর্যন্ত ‘রেশম পথ‘ বা Silk Route গড়ে ওঠে। কুষাণরা এই বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রচূর শুল্ক লাভ করতো।
যা ভারতের অর্থনীতির জন্য লাভদায়ক হয়েছিল।
এছাড়াও রোমের সাথে বাণিজ্যের ফলে ভারতে সোনা ও স্বর্ণমুদ্রা আমদানি হোতো।
বিম কদফিস প্রথম কুষাণ শাসক যিনি ভারতে স্বর্ণমুদ্রা প্রবর্তন করেছিলেন। এরফলে ভারতের অর্থনীতি গতিশীল হয়।
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান
কুষাণ যুগে ভারতের শিক্ষার ক্ষেত্র সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় সেইসময় বিশ্বের এক শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কেন্দ্রে পরিণত হয়।
বৈদিক শাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ব্যাকরণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার জন্য দেশ বিদেশের ছাত্ররা এখানে আসতো।
ধর্ম ক্ষেত্রে অবদান
i) কুষাণদের ধর্মীয় উদারতা
ধর্মের ক্ষেত্রে কুষাণরা ছিলেন ধর্মসহিষ্ণু। ভারতের ধর্ম কুষাণ যুগে উন্নতির তুঙ্গে আরোহণ করে। কুজুল কদফিসেস ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান।
কিন্তু তাঁর পুত্র বিম কদফিস ছিলেন শৈব বা শিবের উপাসক। এর প্রমাণ মেলে বিম কদফিসের মুদ্রায় শিবের মূর্তি দেখে।
তবে ধর্মীয় উদারতা কুষাণকালে যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। পরবর্তী কুষাণ সম্রাটরা বৌদ্ধধর্মের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠলেও কুষাণ যুগে বিভিন্ন ধর্মসম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে।
শ্রেষ্ঠ কুষাণ সম্রাট কণিষ্ক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁর সময়েই মহাযান ধর্মমতের বিকাশ হয়। মহাযান কথার অর্থ মহৎ বাহন বা মহান পথ।
এইরকম নামকরণ করেছিলেন মহাযান ধর্মের অনুগামীরাই।
ii) চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি
বৌদ্ধ ধর্মের মতভেদ দূর করার জন্য সম্রাট কণিষ্কের রাজত্বকালে চতুর্থ ও শেষ বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কাশ্মীরের কুন্দলবনবিহারে।
বৌদ্ধ সংগীতি হোলো বৌদ্ধদের মিলিত সম্মেলন। এই চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি ছিলেন দার্শনিক বসুমিত্র।
আর সহ সভাপতি ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক, লেখক অশ্বঘোষ। চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি বা সম্মেলনে মহাযান মতের উৎপত্তি হয়।
চীন, জাপান, তিব্বত প্রভৃতি দেশে কণিষ্কের নির্দেশে কাশ্যপমাতঙ্গ ও ধর্মরত্ন নতুন করে এই ধর্ম প্রচার করেন।
কুষাণ যুগের বিভিন্ন মুদ্রায় গ্রীক, পারসিক, হিন্দু দেবতাদের মূর্তি কুষাণদের ধর্মীয় উদারতা বা সহিষ্ণুতার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
ভাষা ও সাহিত্যে অবদান ( kushan age )
i) সংস্কৃত ভাষার চর্চা
ভাষা মনের ভাবপ্রকাশের মাধ্যম। বহু প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষে সংস্কৃত ভাষার ঐতিহ্য বিদ্যমান। বেদও রচিত হয়েছিল সংস্কৃত ভাষাতেই।
কুষাণ যুগেও সংস্কৃত ভাষার সম্মান রক্ষা করা হয়েছিল। কুষাণ সম্রাট কণিষ্ক ও পরবর্তী কুষাণ রাজারা সংস্কৃত ভাষার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
কুষাণ যুগে বহু খ্যাতিমান প্রতিভার আবির্ভাব ঘটেছিল। সেইসমস্ত খ্যাতিমান পন্ডিত ব্যক্তিরা সংস্কৃত ভাষাতেই রচনা করেছিলেন অনেক মূল্যবান গ্রন্থ।
ii) কুষাণ যুগের খ্যাতিমান ব্যক্তিগণ
কবি, নাট্যকার, দার্শনিক, ব্রাহ্মণ বৌদ্ধ পন্ডিত অশ্বঘোষ ছিলেন কুষাণ যুগের ভারতের এক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।
সম্রাট কণিষ্কের সভাকবি ছিলেন অশ্বঘোষ। অশ্বঘোষ সংস্কৃত ভাষায় রচনা করেছিলেন ‘বুদ্ধচরিত‘ গ্রন্থটি।
এই গ্রন্থটিতে গৌতম বুদ্ধের জীবনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অশ্বঘোষ রচিত অন্য বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হোলো সৌন্দরানন্দ, মহাযানশ্রধ্যোৎপাদ, গন্ডীস্তোত্রগাথা, বজ্রসূচী ইত্যাদি।
এছাড়াও অশ্বঘোষ রচনা করেছিলেন সংস্কৃত নাটক। অশ্বঘোষ রচিত ‘শারিপুত্র প্রকরণ‘ নাটকটি প্রথম সংস্কৃত নাটক হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৌদগলায়ন ও শারিপুত্রের বৌদ্ধধর্ম গ্রহণের কাহিনী নাটকটির মূল বিষয়।
কুষাণ যুগের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মধ্যে বৌদ্ধ দার্শনিক নাগার্জুন ছিলেন অন্যতম।
সংস্কৃত ভাষায় নাগার্জুন রচনা করেছিলেন মাধ্যমিক দর্শন বা শূন্যবাদ এবং মহাপ্রজ্ঞাপারমিতা গ্রন্থদুটির। ভারতীয় সাহিত্যে এই গ্রন্থদুটির অবদান অসামান্য।
অপর বৌদ্ধ দার্শনিক বসুমিত্রের সংস্কৃতে রচিত মহাবিভাষা গ্রন্থটি বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটকের অপূর্ব ব্যাখ্যা।
নাট্যকার ভাস রচনা করেন উরুভঙ্গ, প্রতিমা নাটক, চারুদত্ত, অভিষেক নাটক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি। সাহিত্য, নাটক রচনার মধ্যেই শুধু কুষাণ যুগ থেমে থাকেনি।
iii) চরক ও সুশ্রুত
ভেষজ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও ভারতে এইযুগের অবদান অনেকখানি। আয়ুর্বেদাচার্য চরক ( Charaka ) রচনা করেছিলেন চরকসংহিতা। চরক ছিলেন সম্রাট কণিষ্কের চিকিৎসক।
চরকসংহিতাতে বিভিন্ন রকম রোগ, রোগের প্রতিকার, ভেষজ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ভারতের আয়ুর্বেদ চিকিৎসার এক মহামূল্যবান দলিল এই গ্রন্থটি।
চরকসংহিতার পর কুষাণ যুগের অপর মূল্যবান গ্রন্থটি হোলো সুশ্রুত সংহিতা। সুশ্রুত সংহিতার রচয়িতা ছিলেন মহর্ষি সুশ্রুত ( Sushruta )।
সুশ্রুত শল্য চিকিৎসার প্রবর্তক ছিলেন। সুশ্রুত সংহিতাতে বিভিন্ন রোগের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার ও অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতির কথা উল্লেখ করা আছে।
ভারতের বর্তমান শল্যচিকিৎসার ধারণা এই সুশ্রুত সংহিতা থেকেই এসেছে।
শিল্পের ক্ষেত্রে অবদান
i) স্থাপত্য
কুষাণ যুগে শিল্পের ক্ষেত্র যথেষ্ট উর্বর। ভারতের শিল্পরীতি এযুগে বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। শিল্পকলার দুটি দিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য।
কুষাণ যুগের স্থাপত্যে বিহার, চৈত্য, স্তূপের উপস্থিতি লক্ষণীয়। বিহার অর্থাৎ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের থাকবার স্থান।
সম্রাট কণিষ্কের আমলে বহু বৌদ্ধ বিহার স্থাপন করা হয়েছিল। এরমধ্যে কণিষ্কপুর বা পুরুষপুর মহাবিহারটি বেশ প্রসিদ্ধ।
কুষাণদের মন্দির স্থাপত্যগুলি থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার বোঝা যায় যে, কুষাণ শাসকরা ছিলেন ধর্ম সহিষ্ণু।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মথুরায় পাওয়া শিলালেখে মন্দিরে দেবতার পূজার্চনার বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।
ii) ভাস্কর্য : গান্ধার ও মথুরা শিল্প
এবার আসা যাক ভাস্কর্যের দিকটিতে।
কুষাণ আমলে দেশীয় ও বিদেশীয় ভাবধারা ও সংস্কৃতি মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিল। যার শুভ ফল হোলো গান্ধার শিল্প।
ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্তের গান্ধার প্রদেশকে কেন্দ্র করে জন্ম নিয়েছিল এই শিল্প। গ্রীক, রোম এবং ভারতীয় শিল্পকলার সমন্বয়ে পুষ্ট ছিল গান্ধার শিল্প।
এই শিল্পের মূল বিষয় হোলো বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম। পাথর, প্লাস্টার, পোড়ামাটি, কাদামাটি, রং ছিল গান্ধার শিল্পের প্রধান উপাদান। বুদ্ধমূর্তি নির্মাণের প্রচলন ঘটে গান্ধার শিল্পরীতি থেকেই।
গ্রীক ও ভারতীয় শিল্পের মিশ্রণে বুদ্ধের মূর্তিতে গ্রীক দেবতাদের রূপদান সত্যিই যেন অনন্য। কুষাণ আমলে গান্ধারের অনুরূপ শিল্পরীতি গড়ে উঠেছিল মথুরাতেও।
যা মথুরা শিল্প নামে পরিচিত।
কুষাণ সম্রাটদের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতীয় রীতিতে মথুরার শিল্পরীতি গড়ে ওঠে। এই শিল্পেরও মূল বিষয়বস্তু বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধৰ্ম।
লাল রংয়ের বেলেপাথরের দ্বারা মথুরা শিল্পে মূর্তিগুলি তৈরী করা হয়। মথুরা শিল্পশৈলীর প্রভাব পরবর্তী গুপ্ত যুগের শিল্পের ওপর পড়ে।
সাঁচী স্তূপের তোরণ গুলিও এ যুগের অপূর্ব সৃষ্টি। ভারতীয় শিল্পধারার আর এক দিক।
মূল্যায়ণ
তাই সবশেষে বলা যেতে পারে যে, অন্য যে কোনো বৈদেশিক জাতির চেয়ে ভারত ইতিহাস, সংস্কৃতিতে কুষাণ যুগের অবদান অনেকটাই বেশি।
অন্ধকার কাটিয়ে কুষাণ রাজারা যে আলোর অধ্যায় রচনা করেন, গুপ্ত রাজারা সেই পথ ধরেই ভারতে সুবর্ণযুগ উপহার দেন।
আরও পড়ুন : ফা – হিয়েন কে ছিলেন
আশা করবো এই পোস্টটি পড়ে ভারতে কুষাণ যুগের অবদান সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছো। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে তোমার মতামত জানিও। আর অবশ্যই পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার কোরো। তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাতে খুব সাহায্য করে। ভালো থেকো বন্ধু…..