ভগৎ সিং স্মরণীয় কেন । Revolutionary Bhagat Singh in bengali

ভগৎ সিং স্মরণীয় কেন ( Revolutionary Bhagat Singh )

গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব ( 75 Azadi ka Amrit Mahatsov ) ধুমধাম করে পালিত হয়েছে।

ভারতের স্বাধীনতাকে স্মরণীয় করে রাখতে ভারত সরকার এই প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে।

ব্রিটিশ সরকারের গোলামি থেকে আজ দেশ মুক্ত। সেই মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলাম আমরা ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট।

এই দিনটিতে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল। শত শত বিপ্লবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টার ফল আজকের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।

১৫ই আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় আজও আমরা সেই বিপ্লবীদের স্মরণ করি।

সেই বিপ্লবী বীরেরা আজও আমাদের কাছে অমর। এইরকমই এক মহান বিপ্লবীর বীরত্বের কথা আজও ভারতের প্রতি ঘরে উচ্চারিত হয়।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান অনেকখানি। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের কাছে তিনি আজও এক মহান আদর্শ।

নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করছে কে তিনি ? হ্যাঁ তিনি হলেন তরুণ বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং ( Revolutionary Bhagat Singh )

এই পোস্টে জানবো বিপ্লবী ভগৎ সিং সম্পর্কে। জানবো তাঁর কার্যকলাপ সহ তাঁর জীবনের নানা অজানা দিকগুলিকে। 

ইতিহাসে ভগৎ সিং কেন স্মরণীয় বা ভগৎ সিং কেন বিখ্যাত ইতিহাসের পাতায় জানবো সেসম্পর্কেও। 

এর জন্য পুরো পোস্টটি অবশ্যই পড়তে হবে। 

ভগৎ সিং-এর জন্ম ও শৈশব 

১৯০৭ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের বাঙ্গা গ্রামে ভগৎ সিং-এর জন্ম হয়। পরিবারটি ছিল একটি বিপ্লবী পরিবার।

তাঁর মায়ের নাম ছিল বিদ্যাবতী এবং বাবার নাম কিষেণ সিং সান্ধু। সাত ভাইবোনের সঙ্গে বেড়ে ওঠা ভগৎ সিং-এর।

বিখ্যাত বিপ্লবী অজিত সিং সম্পর্কে ভগৎ সিং-এর কাকা ছিলেন। আর পাঁচজন সাধারণ গ্রামের বাচ্চাদের মতো তিনিও লেখাপড়ার জন্য ভর্তি হন গ্রামের স্কুলে।

শৈশব থেকেই লেখাপড়াকে ভালোবেসেছিলেন ভগৎ সিং। শৈশবেই তাঁকে এক মস্ত বড়ো নেশা পেয়ে বসেছিল। তা হোলো বই পড়ার নেশা।

যা বজায় ছিল ফাঁসির মঞ্চে ওঠার আগে পর্যন্ত।

ভগৎ সিং ছোট্ট বয়সেই ছোটো বড়ো গল্প, উপন্যাস পড়ে ফেলেছিলেন। ছোট্ট ভগৎ জানতে চাইতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কথা।

সেই দেশগুলোর মানুষজনদের কথা। সেইসব মানুষদের সুখ দুঃখের গল্প গুলো ভগৎ সিং-এর মনে দাগ কাটতো।

কিন্তু দেশ বিদেশের গল্প গুলো পড়তে গেলে ইংরেজি ভাষাটা জানা দরকার। তাই অল্পদিনের মধ্যেই ভগৎ সিং ইংরেজি ভাষাটা রপ্ত করে ফেললো। 

একে একে ছোট্ট ভগৎ পড়ে ফেললো ইতালি, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের গল্প কথা গুলো।

মাত্র এইটুকু বয়সেই দেশ, দেশের সরকার, দেশের নেতাদের সম্পর্কে ছোট্ট ভগতের মধ্যে ধারণা তৈরি হোলো।

শিশুমন তোলপাড় হতে শুরু করলো বিভিন্ন অজানা প্রশ্নে। নিজের জন্মভূমি ভারত সম্পর্কে কৌতূহল ক্রমাগত বাড়তে লাগলো ওইটুকু একটি শিশুর মধ্যে।

আরও পড়ুনশিখ ধর্মের উত্থান

তরুণ ভগৎ সিং 

ছোট্ট ভগৎ সিং শৈশব অতিক্রম করে তরুণ হয়ে উঠলেন। এ যেন ছোটো চারাগাছের বড়ো বৃক্ষের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

স্কুলের পড়া শেষ করে ভর্তি হলেন শহরের কলেজে। কিন্তু কলেজে গিয়েও বই পড়ার নেশাটা বজায় থাকলো।

জানলে হয়তো অবাক হবে কলেজে পড়াকালীন প্রায় দুশো বই ভগৎ সিং পড়ে ফেলেছিলেন।

তাঁর প্রিয় লেখকদের মধ্যে ছিলেন চার্লস ডিকেন্স, ভিক্টর হুগো, ম্যাক্সিম গোর্কি, অস্কার ওয়াইল্ড এবং আরো অনেকে।

অন্যদিকে কার্ল মার্ক্স, ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস, ট্রটস্কি-র লেখা পড়ে ভগৎ সিং-এর সাম্যবাদের প্রতি মন টানলো।

সেই সময় ভারতবর্ষ বিদেশি সাম্রাজ্যবাদের অধীনে বন্দী।

ভগৎ সিং-র ধারণা হোলো অত্যাচারী, বর্বর ইংরেজদের ভারত থেকে হঠাতে বিপ্লবের প্রয়োজন। প্রয়োজন সর্বব্যাপী আন্দোলনের।

এটা কি জানো কলেজে পড়াকালীন ভগৎ সিং ‘সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত’ এবং ‘রাণা প্রতাপ‘ নামক দুটো নাটকে অভিনয় করেছিলেন। দুটো নাটকেই দূর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন তিনি।

অবশেষে কলেজের পড়াশোনা শেষ করে ভগৎ সিং ফিরে এলেন নিজের গ্রামে। বাবা-মা ভগতের বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লাগলেন।

কিন্তু ভগৎ সিং পণ করলেন তিনি সংসারী হবেন না।

পালিয়ে চলে গেলেন আবার সেই শহরে। বাবা-মা হার মানলেন ছেলের জেদের কাছে।

এতদিনে ভগৎ সিং-র মনের মধ্যে বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে।

তাঁর বয়সী তরুণদের নিয়ে শুরু করে দিলেন দল গড়ার কাজ। উদ্দেশ্য একটাই, দেশকে বর্বর ব্রিটিশ শক্তির হাত থেকে বাঁচানো।

সাইমন কমিশন ও লালা লাজপত রায় 

ভারতীয়দের শাসন সংস্কার ও সংবিধান সংস্কারের দাবি ক্রমশই জোরালো হচ্ছিল। এই অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার ঠিক করলো ভারতীয়দের সাংবিধানিক অধিকার প্রদান করবে।

যাতে ভারতে পরিস্থিতি ঠিক থাকে।

এই কারণে ব্রিটিশ সরকারের দ্বারা ১৯২৭ সালে সাইমন কমিশন ( Simon Commission ) বা Indian Statutory Commission গঠিত হয়।

স্যার জন সাইমন-র নাম অনুসারে এই কমিশনের নাম রাখা হয়েছিল সাইমন কমিশন।

তিনি ছিলেন এই কমিশনের সভাপতি। সাইমন কমিশনের সদস্য সংখ্যা ছিল ৭ জন।

এখন প্রশ্ন সাইমন কমিশন কেন এসেছিল ?

কারণ, দেশের আইন কানুনে পরিবর্তন আনতে এসেছিল সাইমন কমিশন। এসেছিল তাঁদের মতো করে ভারতের নতুন সংবিধান রচনা করতে।

যাতে বিদেশি শাসন এদেশে আরও মজবুত হয়।

সাইমন কমিশনের সুপারিশ ছিল ভারতীয়দের জন্য নতুন সংবিধান রচনা করা ও তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার প্র্রদান করা।

কিন্তু সাইমন কমিশনে কোনো ভারতীয় সদস্য ছিল না। এর ফলে ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়।

কারণ ভারতবাসীর ভবিষ্যৎ ঠিক করবে কিনা বিদেশিরা, এমনটা হতে পারেনা। এটি ছিল ভারতীয়দের কাছে অপমান। সেইকারণে ভারতীয়রা সাইমন কমিশন বর্জন করেছিল।

সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে শুরু হোলো প্রতিবাদী মিছিল।

বোম্বে, কলকাতা, পুনা, বেজওয়ারা, লাহোর এই সমস্ত জায়গাতেই জন সাইমনকে কালো পতাকা দেখানো হয়।

সেইসাথে স্লোগান ওঠে সাইমন ফিরে যাও; Go back Simon

১৯২৮ সালের ৩০শে অক্টোবর লাহোরে এসেছে সাইমন কমিশন।

কমিশনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৬৩ বছরের প্রবীণ বৃদ্ধ লালা লাজপত রায়

হঠাৎ পুলিশ সুপার জেমস এ. স্কটের আদেশে মিছিলের ওপর বেপরোয়া লাঠি চালানো হোলো। লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল লালা লাজপত রায়ের।

মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল লালা লাজপত রায়ের মৃত্যু হয় নাকি Heart attack করে।

এই অসভ্য বর্বরদের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসতে থাকেন ভগৎ সিং। এর প্রতিশোধ নিতেই হবে।

যে করে হোক মেরে ফেলতে হবে ওই পুলিশ সুপারকে। আর একাজের নেতৃত্ব দেবেন ভগৎ সিং নিজে। তিনজনের দল তৈরী করে শুরু হোলো প্রস্তুতি। 

স্যান্ডার্স হত্যাকান্ড     

তিন তরুণ যুবক ভগৎ সিং, শিবরাম রাজগুরু, সুখদেব থাপর এঁরা প্রতিশোধ নেবে লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর।

১৯২৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বর লাহোরে জেলা পুলিশের অফিসের সামনেই পুলিশ সুপার জেমস এ.স্কটকে গুলি করে মারবেন ভগৎ সিং।

লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গুলি চালাবেন রাজগুরু ও সুখদেব।

সবকিছুর ওপর নজর রাখছিলেন আর একজন বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ

স্কট অফিসের বাইরে আসতেই ভগৎ সিং গুলি চালিয়ে হত্যা করলেন ইংরেজ সাহেবকে।

কিন্তু ভুলবশত সেদিন স্কটকে ভালোভাবে চিনতে না পেরে গুলি লেগেছিল কুখ্যাত সহকারী পুলিশ সুপার জন.পি. স্যান্ডার্সের

কনস্টেবল চন্দন সিং ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেব কে দেখতে পেলেও আজাদের গুলিতে সে প্রাণ হারায়।

এই ঘটনার পর ভগৎ সিং গোপনে পালিয়ে আসেন কলকাতায়। এই ঘটনা ইতিহাসে স্যান্ডার্স হত্যাকান্ড নামে পরিচিত।

লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা 

স্যান্ডার্স হত্যাকান্ড ঘটার পর ব্রিটিশ সরকার রাজনৈতিক আন্দোলন দমন করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।

১৯২৯ সালে প্রতিবাদ দমনের নামে দিল্লির সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ এসেম্বলীর সভায় ব্রিটিশ সরকার দুটি বিল আনে। একটি ‘Public safety bill‘, আর অন্যটি ‘Trade disputes bill‘।

সভার স্পিকার ছিলেন বল্লভভাই প্যাটেল-র ভাই বিঠলভাই প্যাটেল। ছিলেন মতিলাল নেহেরু, মদনমোহন মালব্য, জিন্নাহ প্রমুখরা।

সভার গ্যালারির দর্শক আসনে ছিলেন ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর দত্ত, সাইমন, রিপোর্টার চমনলাল প্রমুখরা।

দুপুর বারোটার সময় বিঠলভাই প্যাটেল বিল দুটির ফলাফল ঘোষণা করবেন। ঠিক এমনসময় হলঘরে বোমা ফাটার বিকট শব্দ শোনা যায়।

বোমা ছুড়েছিলেন ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত। 

ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত স্লোগান দেন – ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ‘, ‘ডাউন উইথ ইম্পেরিয়ালিজম‘। সেইসাথে তাঁরা ঘরময় ছড়িয়ে দেন কিছু বিপ্লবী উক্তির কাগজ।

তাতে লেখা ছিল ‘বধিরকে শোনাতে হলে বিস্ফোরণের দরকার হয় ‘

তুমুল হট্টগোল শুরু হলে ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত-কে ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় ভগৎ সিং -র চোখেমুখে ভয়ের লেশমাত্র ছিল না।

একজন প্রকৃত বিপ্লবীর বোধ হয় এটাই পরিচয়।  

১৯২৯ সালে ১৫ই জুন ভগৎ সিং-কে মিয়াঁওয়ালি জেল ও বটুকেশ্বর দত্তকে লাহোর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সুখদেব, রাজগুরু সমেত অন্য বিপ্লবীরা। 

এমনকি লাহোরের গোপন বোমা তৈরির কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। জানা যায় বিপ্লবী দলের কিছু মীরজাফর এক্ষেত্রে পুলিশকে সাহায্য করেছিল।

ভগৎ সিং, সুখদেব ও রাজগুরুর বিরুদ্ধে লাহোর কোর্টে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা রুজু করে বিচার করা হয়।

বিচারে এই তিনজনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। 

ভগৎ সিং-র ফাঁসি  

মিয়াঁওয়ালি জেলে রাজনৈতিক বন্দিদের অখাদ্য কুখাদ্য খেতে দেওয়া হোতো। বন্দিদের জেলে থাকার ব্যবস্থাও ছিল অতি করুণ।

ভগৎ সিং এর প্রতিবাদে শুরু করলেন অনশন। ভগৎ সিং-কে নিয়ে আসা হোলো লাহোরের জেলে।

লাহোরের এই জেলে আগে থেকেই বন্দি আর এক বিপ্লবী। নাম তাঁর যতীন দাস

যতীন দাসও অনশন পালন করছিলেন। প্রায় টানা ৬৩ দিন অনশনের পর যতীন দাসের মৃত্যু হয়।

লাহোরের জেলে ১১৬ দিন ভগৎ সিং অনশন পালন করেছিলেন। এই অনশনে সুখদেব ও রাজগুরুও তাঁর সঙ্গী ছিলেন।

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় ভগৎ সিং-র ২৪ বছরের জীবনে অনশনের মোট দিন ছিল ১৪২। যা গান্ধীজির করা রাজনৈতিক অনশনের থেকে বেশি ছিল। 

অবশেষে এলো সেই দিন, ১৯৩১ সালের ২৩শে মার্চ। সময়টা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা।

ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হোলো লাহোর জেলের ফাঁসির মঞ্চে।

সারা লাহোর জেল জুড়ে ধ্বনিত হচ্ছে ভগৎ সিং-র করা উক্তি ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘ডাউন উইথ ব্রিটিশ ইম্পেরিয়ালিজম’।

সময় সন্ধ্যা সাতটা চৌত্রিশ শেষ হোলো একটি তরুণ তাজা প্রাণ।

তখনও ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ধ্বনি জেলের দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়ছে।

সেইদিন ব্রিটিশ সরকার ভয় পেয়েছিল এই জনপ্রিয় সাহসী তরুণটিকে। তাঁরা জানতো তাঁদের ভারতে থাকার দিন ফুরিয়ে আসছে। 

তাইতো ইতিহাসের পাতায় আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বিপ্লবী ভগৎ সিং।

আরও পড়ুন : মুঘল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা

আশা করি এই পোস্টটি পড়ে বিপ্লবী ভগৎ সিং সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছো। যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে তোমার মতামত জানিও। আর পোস্টটি অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার কোরো। তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। ভালো থেকো বন্ধু…..

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!