মুঘল যুগের মুদ্রাব্যবস্থা কেমন ছিল তা ইতিহাসের এক বহু চর্চিত বিষয়।
এই চর্চা আধুনিক ইতিহাসের ছাত্রদের কাছে যেমন গবেষণার বিষয়, তেমনি সাধারণ ইতিহাস পাঠকদের মধ্যেও কৌতূহল জাগায়।
১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের জয়লাভ দিয়ে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। এরপর যেকজন মুঘল সম্রাট এসেছেন তাঁদের লক্ষ্য ছিল ঐক্যবদ্ধ ভারত সাম্রাজ্য গড়ে তোলা।
এই সাম্রাজ্য গঠনের মধ্যমণি ছিলেন মুঘল সম্রাটরা স্বয়ং। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে বলবৎ ছিল মুঘল সম্রাটদের তৈরি করা ব্যবস্থাগুলি।
এরমধ্যে মুঘল সম্রাটদের মুদ্রা ব্যবস্থা অন্যতম। অবাক করার বিষয় হোলো মুঘল আমলের ভারতবর্ষেই প্রথম মুদ্রা নির্ভর অর্থনীতি শুরু হয়।
মুঘল সম্রাটদের বিভিন্ন আকার, ওজনের মুদ্রাগুলি তাঁদের ঐশ্বর্য এবং গর্বের প্রতীক।
আর এইযুগে ধাতুর তৈরী মুদ্রাই প্রচলিত ছিল। মুঘল যুগের ভারতের অর্থনীতির মেরুদন্ড ছিল সুগঠিত মুদ্রাব্যবস্থা।
তবে মুঘল যুগের মুদ্রার ইতিহাসে শের শাহ-র কিন্তু এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। শের শাহের প্রচলন করা বিশুদ্ধ রুপো ও তামার মুদ্রা-র হাত ধরেই মুঘলদের মুদ্রার পথ চলা শুরু।
সময় যত এগিয়েছে মুদ্রার ততো পরিবর্তন হয়েছে। এই বর্তমান সময়ে এসেও আধুনিক মুদ্রাব্যবস্থা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করে চলেছে।
ক) মুঘল যুগের মুদ্রাব্যবস্থা ( Mughal coinage system in bengali )
১) বাবর ও হুমায়ুনের আমলের মুদ্রা
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর ও তাঁর পুত্র হুমায়ুনের সময়কার মুদ্রা আগ্রা, দিল্লি, লাহোর, কাবুল থেকে চালু হয়েছিল। মুদ্রাগুলি ছিল রুপোর তৈরী।
এই রৌপ্যমুদ্রা-র নাম ছিল ‘শাহরুখি‘ বা ‘দিরহাম‘। মুদ্রার একপিঠে গোল আকারে লেখা থাকতো পবিত্র কোরানের কলমা।
আর মুদ্রার অন্যপিঠে থাকতো খলিফা বা মুসলমান ধর্মগুরুদের নাম। আবু বকর, উমর, উসমান, আলি এই প্রথম চারজন খলিফার নাম মুদ্রায় ব্যবহৃত হোতো।
এযুগের পাওয়া ৬৯ গ্রেন ওজনের একটি মুদ্রায়, খলিফার নামের সাথে মহান সম্রাট, মহান সুলতান অভিধার ব্যবহারও দেখা গেছে।
হুমায়ুন প্রচলন করেছিলেন মাত্র ১৬ গ্রেন ওজনের একধরণের ক্ষুদ্র স্বর্ণমুদ্রা। কিন্তু এটি কোন টাঁকশালে তৈরি হয়েছিল তা জানা যায় না।
আরও পড়ুন : মুঘল যুগের ইতিহাসের উপাদান
২) আকবরের আমলের মুদ্রা
মুঘল সম্রাট আকবর মুদ্রা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করেন। আর একাজে সাহায্য করেছিলেন আকবরের রাজস্ব মন্ত্রী তথা অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রাজা টোডরমল।
মুদ্রা সংস্কারের জন্য ভারতে শের শাহের কাছে আকবর অনেকাংশে ঋণী। শের শাহের রুপো ও তামার মুদ্রা ভারতে আগেই প্রচলিত ছিল।
শের শাহের সময়ই টাঁকশালের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
এমনকি শের শাহের মুদ্রায় কোরানের কলমা ও খলিফার নাম খোদাইয়ের রীতিকেই অনুসরণ করেছিল পরবর্তী মুঘল সম্রাটরা। আকবরও এর ব্যতিক্রম নন।
মুঘল যুগের স্বর্ণমুদ্রার নাম ছিল ‘মোহর‘ বা ‘আশরফি‘। বিশুদ্ধ সোনার তৈরী মোহর যেমন মূল্যবান তেমনি তা ছিল মুঘল সম্রাটদের গর্ব।
আকবরের স্বর্ণমুদ্রা ছিল গোলাকার, চৌকো, সমচতুর্ভূজ আকৃতি বিশিষ্ট। মুদ্রায় আরবি ভাষায় টাঁকশাল ও মুদ্রাটি প্রকাশের তারিখ দেওয়া থাকতো।
আবার রাম-সীতার নামাঙ্কিত ও পাখির মূর্তি আঁকা মুদ্রাও আকবর প্রচলন করেছিলেন। মুদ্রাগুলির ওজন ছিল প্রায় ১৮২ গ্রেন।
এর থেকে অনুমান হয় মুদ্রাগুলি আকারে বেশ বড়ো ও ভারী দেখতে ছিল।
রাম-সীতার মুদ্রা আকবরের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার দিকটিকেই নির্দেশ করে। অসিরগড় দুর্গ দখলের স্মৃতি রক্ষার্থে পাখি মুদ্রার প্রচলন করেন আকবর।
এছাড়াও আকবরের প্রচলিত মোহরে খোদাই অবস্থায় পাওয়া গেছে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর কবিতার দু’লাইন অংশবিশেষ।
৩) জাহাঙ্গীরের আমলের মুদ্রা
আকবরের পুত্র জাহাঙ্গীর তাঁর সৌন্দর্যপ্রিয়তার জন্য ইতিহাসে বেশ প্রশংসিত। জাহাঙ্গীরের আমলের চিত্রশিল্প ইতিহাস বিখ্যাত ।
আবার তেমনি মুঘল মুদ্রার দিকটিও জাহাঙ্গীরের আমলে উৎকর্ষের চরম শিখরে উঠেছিল। জাহাঙ্গীরের সৌন্দর্যপ্রিয়তা তাঁর মুদ্রাতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
জাহাঙ্গীর তাঁর মুদ্রায় সামনের দিকে পবিত্র কোরানের কলমা এবং অপরদিকে নিজের নাম খোদাই করেছিলেন।
তাঁর রাজত্বের চৌদ্দ বছরের একটি স্বর্ণমুদ্রায় সুন্দর একটি লম্ফমান ভেড়ার মূর্তি ও ‘সামা চৌদ্দ জুলুস’ তারিখ লেখা দেখতে পাওয়া যায়।
আজমীর থেকে প্রচলিত মুদ্রায় দেখা গেছে জাহাঙ্গীর সিংহাসনে বসে আছেন হাতে একটি বড়ো পানপাত্র নিয়ে। এইসব নিখুঁত কারুকার্য জাহাঙ্গীরের সৌন্দর্যবোধের পরিচায়ক।
সূর্যের আলোর বিকিরণের ছবি এবং ‘ইয়া-মইনু’ নামের মুদ্রণ নামাঙ্কিত একটি মুদ্রাও জাহাঙ্গীর আজমীর থেকে প্রচলন করেছিলেন।
মুদ্রাটি তিনি উৎসর্গ করেছিলেন খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির উদ্দেশ্যে।
তাই বলা যায় যে, মুঘল যুগের মুদ্রাগুলির মধ্যে জাহাঙ্গীরের মুদ্রাই ছিল সবচাইতে শিল্প মন্ডিত।
৪) শাহজাহানের আমলের মুদ্রা
সম্রাট জাহাঙ্গীরের পুত্র শাহজাহান পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে আছেন অপূর্ব শিল্প স্থাপত্যের জন্য।
শাহজাহানের আমলে নির্মিত বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল আজও প্রত্যেক বিশ্ববাসীর কাছে মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু শাহজাহানের মুদ্রায় শিল্প সৌন্দর্য ম্লান।
তাঁর প্রচলিত মুদ্রাগুলি সাধারণমানের।
শাহজাহানের স্বর্ণমুদ্রায় কোরানের কলমা, টাঁকশালের নাম ও রাজার নাম ভিন্ন অন্য কোনো চিত্রের কারুকার্য অনুপস্থিত।
রাজত্বের প্রথমদিকে মুদ্রাতে পারসিক সূর্য মাস ব্যবহার হোতো। পরে তা বদলে স্বর্ণমুদ্রাগুলিতে চন্দ্র মাসের ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া পূর্বের সম্রাটদের মতো মুদ্রাতে খলিফাদের নামের ব্যবহার ছাড়া বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে না।
৫) ঔরঙ্গজেবের আমলের মুদ্রা
মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালেই মুদ্রার মানের অবনতি ঘটে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি তাঁর উদাসীনতাই মুদ্রার মানের অবনতির কারণ।
ঔরঙ্গজেবের আমলে থাট্টা থেকে ছাপা মুদ্রাগুলিতে পুরোনো পদ্ধতিকেই অনুসরণ করা হয়েছিল।
নিজের শাসনকালের পঞ্চম বছরে ১৭০ গ্রেন ওজনের একটি স্বর্ণমুদ্রাতে খোদাই করেছিলেন নিজের নাম, টাঁকশালের নাম ও রাজত্বের বছর।
আরও পড়ুন : মহীশূর রাজ্যের উত্থান
খ) মুঘল রৌপ্যমুদ্রা রুপি ( মুঘল যুগের মুদ্রাব্যবস্থা )
মুঘলদের মুদ্রাতে রুপোর মুদ্রা ( Mughal coins ) ‘রুপি’-ই ছিল প্রধান।
স্বর্ণমুদ্রা বা মোহর রাজকীয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলেও ব্যবহারিক জীবনে রুপোর মুদ্রাতেই যাবতীয় কাজকর্ম চলতো।
বাণিজ্যিক লেনদেন, রাজস্ব আদায়, কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি সবই হোতো রুপোর মুদ্রায়। একমাত্র খাজনা দেওয়া-নেওয়া হোতো তামার মুদ্রাতে।
উপরোক্ত তথ্যগুলি মুঘল যুগের দুই বিখ্যাত ঐতিহাসিক আবুল ফজল ও আবদুল হামিদ লাহোরীর রচনা থেকেই প্রাপ্ত।
মুঘল যুগে তামার মুদ্রার নাম ছিল ‘দাম’। এই মুদ্রা শের শাহ চালু করেছিলেন।
এই রৌপ্য মুদ্রা রুপি ও তাম্র মুদ্রা মুঘলরা শের শাহের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর সবথেকে বেশি ভারী রুপোর মুদ্রা প্রচলন করেন।
নিসারাথ, শারি দিরহাম নামে ছোটো রুপার মুদ্রাগুলিকে সাধারণ মানুষদের মধ্যে অকাতরে বিলি করা হোতো।
সম্রাট আকবরের রুপোর মুদ্রা ‘ইলাহি’ নামে পরিচিত ছিল। মুদ্রাগুলি দেখতে ছিল গোলাকার ও চারকোণা বিশিষ্ট। মুদ্রাতে আকবরের উপাধি ‘আল্লাহ আকবর জাল্লা জালালুহু’ খোদাই করা থাকতো।
শাহজাহানের রুপির ওজন ছিল ১৬৮ গ্রেন। মুদ্রাতে খোদিত থাকতো কলমা, টাঁকশালের নাম, রাজার নাম ও হিজরি বর্ষ।
মুঘল সম্রাটদের আত্মজীবনীতেও এই তথ্যগুলি লিপিবদ্ধ করা রয়েছে।
গ) মুঘল যুগের মুদ্রার বৈশিষ্ট্য ( মুঘল যুগের মুদ্রাব্যবস্থা )
- মুঘল যুগে দুধরণের মুদ্রা প্রচলিত ছিল। রুপোর তৈরি মুদ্রা রুপি এবং স্বর্ণমুদ্রা আশরফি বা মোহর।
- রুপোর রুপি মুদ্রাগুলির ওজনের মান ও বিশুদ্ধতা একই বজায় থাকায় এই মুদ্রাই ছিল মুঘল মুদ্রা ব্যবস্থার ভিত্তি।
- স্বর্ণমুদ্রাগুলি প্রধানত মুঘল শাসক ও অভিজাতদের মধ্যেই ব্যবহার হোতো।
- মুঘল যুগের মুদ্রাগুলিতে পবিত্র কোরানের কলমা ও খলিফাদের নাম খোদাই করা থাকতো।
- প্রতিটি মুঘল মুদ্রাতেই লিপি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে আরবি।
- মুঘল মুদ্রার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হোলো, মুদ্রাগুলি সুন্নি বিশ্বাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল। কারণ মুদ্রায় কলমা ও খলিফার নাম খোদাই সুন্নি বিশ্বাসের দিকটিকেই নির্দেশ করে।
- মুঘল মুদ্রাগুলির আকার ছিল গোলাকার, চৌকো ও সমচতুর্ভূজ আকৃতি সম্পন্ন।
ঘ) মুঘল যুগের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে মুদ্রা
মুঘল যুগের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে মুঘল যুগের মুদ্রাগুলির গুরুত্ব অপরিসীম।
মুঘল যুগ সম্পর্কে জানতে মুঘল সাহিত্যকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন ঐতিহাসিকরা।
কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, মুদ্রা ব্যবস্থা মুঘল যুগ সম্পর্কে বহু তথ্য দেয়। মুঘল মুদ্রাগুলিতে দেওয়া তারিখ, বর্ষ থেকে মুঘল সম্রাটদের শাসনকাল সম্পর্কে জানা যায়।
যেমন আকবরের আমলের মুদ্রা থেকে ইলাহি বর্ষের সম্পর্কে জানা যায়।
এই ইলাহি বর্ষ পারসিক সূর্য-বর্ষকে হিসেবে করেই করা হয়েছিল। আবার শাহজাহানের স্বর্ণমুদ্রায় চন্দ্রমাসের উল্লেখ থাকতো।
সুতরাং মুদ্রায় উল্লিখিত এই বছরগুলিকে যাচাই করে ঐতিহাসিকদের পক্ষে মুঘল ইতিহাস রচনা সম্ভব হয়।
মুঘল মুদ্রায় সোনা, রুপোর মতো ধাতুর ব্যবহার থেকে এযুগের অর্থনৈতিক অবস্থার ইঙ্গিত মেলে।
ধাতুর মান সম্পর্কেও অনেককিছু জানা যায়।
ঙ) মুঘল যুগের অর্থনৈতিকঅবস্থা ও মুদ্রা
মুঘল যুগের ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে অপরিমিত ঐশ্বর্যের দিকটি উঠে আসে।
এই অপরিমিত ঐশ্বর্যের দিকের কথা স্যার টমাস রো-র বর্ণনাতেও ধরা পড়েছে। টমাস রো, এই ইউরোপীয় পর্যটকটি এসেছিলেন জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে।
মুঘলদের অপরিমিত ঐশ্বর্য ধরা পড়েছে মুঘল মুদ্রাতেও। এযুগের মুদ্রার মান ছিল যথেষ্ট ভালো। স্বর্ণমুদ্রার চল ছিল।
যা উন্নত মুঘল অর্থনীতির পরিচায়ক।
রুপোর ‘রুপি’ মুদ্রার বাজারে অঢেল যোগান থাকায় সাধারণ মানুষ সেযুগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অনায়াসেই কিনতে পারতো।
জিনিসপত্রের দামও ছিল অস্বাভাবিক সস্তা। আকবরের সময়ে একজন মজুরের সর্বনিম্ন মজুরি ছিল ৬০ দাম।
যা দিয়ে মজুরের পরিবার জীবন স্বচ্ছন্দে চলে যেত। মুঘল অর্থনীতিতে রুপি ও দাম দুই মুদ্রাই সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
দাম মুদ্রার দ্বারা কৃষকরা তাঁদের খাজনা মেটাতো। এক রুপিতে চল্লিশ দামের হিসেব ধরে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক কার্য সম্পাদিত হোতো।
চ) উপসংহার
মুঘল আমলেই ভারতে প্রকৃত মুদ্রা নির্ভর অর্থনীতির সূত্রপাত হয়। মুঘলরা বিভিন্ন আকৃতির ওজনের মুদ্রা প্রচলন করে ভারতে কেন্দ্রীয় শাসনকে সুসংহত করে।
বিভিন্ন আকারের, ওজনের মূল্যবান স্বর্ণমুদ্রা ও রুপোর মুদ্রা মুঘল সম্রাটদের গর্ব, ঐশ্বর্য, সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে মুঘলদের এই মুদ্রা ব্যবস্থার পিছনে শের শাহের অবদান বিদ্যমান। এযুগের মুদ্রা ব্যবস্থা ভারতে সেইসময় উন্নত অর্থনীতির জন্ম দিয়েছিল।
যে অর্থনীতি মুঘল আমলের সাধারণ জনগণের উন্নতির পক্ষে সহায়ক হয়।
আরও পড়ুন : শাহজাহানের কৃতিত্ব
আশা করি ‘মুঘল যুগের মুদ্রা ব্যবস্থা’ সম্পর্কিত পোস্টটি পড়ে তোমরা অনেককিছু জানতে পেরেছো। যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার কোরো। তোমাদের মূল্যবান মতামত ভীষণ অনুপ্রেরণা যোগায়। ভালো থেকো তোমরা সবাই।
ভালো লাগল
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়বার জন্য। এইভাবেই iitihas.com এর পাশে থেকে সাপোর্ট দিও। খুব ভাল থেকো।