নেতাজী নামে আমরা কাকে সম্বোধন করি বলো তো ?….. হ্যাঁ বন্ধু তুমি ঠিকই ধরেছো অবশ্যই সুভাষচন্দ্র বোসকে। সত্যিই নেতাজী নাম টা যেন তাকেই মানায়। আমাদের ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক জ্বলতে থাকা নক্ষত্র নাম তার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস। যাকে আন্দোলনের যেমন মহানায়ক বলা হয়। ঠিক তেমনি আবার বিপ্লবী আন্দোলনের তলোয়ারও বলা চলে।
নেতাজীর শিক্ষাগুরু ছিলেন বেণীমাধব দাস। আবার রাজনৈতিক গুরু ছিলেন আমাদের সবার পরিচিত দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। আর যদি আধ্যাত্মিক গুরুর নাম বলি তাহলে স্বামী বিবেকানন্দের নাম বলতে হয়। যার প্রেরণা নেতাজীকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে উৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
ভারতে সুভাষচন্দ্র বোস :-
আই. সি. এস পরীক্ষায় সুভাষচন্দ্র বোস চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। এরপর যখন দেশে ফিরে আসেন তখন গান্ধীজির নেতৃত্বে দেশে অসহযোগ আন্দোলন চলছে। ১৯২০ র দশকে চিত্তরঞ্জন দাসের সাথে তার আলাপ হয়। সেইসময় ইংরেজরা নেতাজীকে লোভনীয় সরকারি চাকরীর সুযোগ দেয়।
কিন্তু চিত্তরঞ্জন দাসের পরামর্শে তিনি সেই চাকরী ত্যাগ করে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিলেন। প্রিন্স অফ ওয়েলস সেইসময় ভারত ভ্রমণে আসেন। সেই ভ্রমণের প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে সুভাষচন্দ্র বোস প্রথম কারাবরণ করলেন। যদিও এর জন্য তিনি গান্ধীজির কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
১৯২৩ সালে চিত্তরঞ্জন দাস গড়ে তোলেন স্বরাজ্য দল। সুভাষচন্দ্র বোস ছিলেন এই দল তথা আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা। তখনকার কলকাতা কর্পোরেশন এর তিনি ছিলেন Cheif Executive Officer . চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যুর পর তিনি মেয়র হন। বিপ্লবী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেন বলে তাকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে সেন্ট্রাল জেল ও পরে মান্দালয় জেলে পাঠানো হয়।
অল্প কয়েকদিন পর তিনি নিজেকে শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত করেন। অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে তিনি নির্বাচিত হন। ১৯২৮ সালে জামশেদপুরে টাটা কোম্পানির শ্রমিক আন্দোলনের সাথেও যুক্ত হন সুভাষচন্দ্র বসু।
রাজনৈতিক জীবন শুরুর থেকেই সুভাষচন্দ্র ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তীব্র বিরোধী। সবসময়ই তিনি ছিলেন পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি নিয়েই গান্ধীজির সাথে তার সংঘাত বাধে। ১৯২৮ সালের কলকাতা কংগ্রেসে।
১৯৩০ সালে দেশে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। সুভাষচন্দ্র বসু গ্রেপ্তার হন ব্রিটিশদের হাতে। জেলের ভিতরে তিনি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার অসুস্থতার জন্য তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর চিকিৎসার জন্য তিনি ইউরোপ যান। ইউরোপের দেশ ইতালি তে মুসোলিনির সাথে সুভাষচন্দ্রের দেখা হয়। বেনিটো মুসোলিনি ছিলেন ইতালির একজন নেতা। এর মধ্যে দেশে গান্ধীজি আইন অমান্য আন্দোলন তুলে নেন। তার জন্য সুভাষচন্দ্র বসু তীব্র সমালোচনা করেন।
১৯৩৪ সালে সুভাষচন্দ্র বসু তার আত্মজীবনী “The Indian Struggle” লিখতে শুরু করেন। ফের দুবছর পর ব্রিটিশ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে। এর প্রতিবাদ হিসাবে কংগ্রেস ১৯৩৬ সালের ১০ই মে দিনটিকে সুভাষ দিবস হিসাবে পালন করে।
হরিপুরা কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত হন। এর পর থেকেই গান্ধীজির সাথে তার মতের অমিল হতে শুরু করে। পরের কংগ্রেস অধিবেশনে গান্ধীজি সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী দিলেন। প্রার্থী ছিলেন পট্টভি সীতারামাইয়া।
১৯৩৯ সালে নির্বাচন টি হয়। নির্বাচনে সুভাষচন্দ্র বসু পেলেন ১৫৮০ টি ভোট। অন্যদিকে পট্টভি সীতারামাইয়া পেলেন ১৩৭৭ টি ভোট। সীতারামাইয়া পরাজিত হলেন ২০৩ ভোটে। সুভাষচন্দ্র বসু আরো একবার কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হলেন। এক্ষেত্রে বলে রাখি নির্বাচনটি হয়েছিল ত্রিপুরী কংগ্রেসে।
গান্ধীজি কিন্তু এই ত্রিপুরী কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। কারণ তার পছন্দের প্রার্থী হেরে গিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্রের কাছে।
এরপর কি হলো জানো ? সেই কথাই বলব এবার
সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছেড়ে দিলেন। গঠন করলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি দল। সালটি ছিল ১৯৩৯। আর কংগ্রেসও তাকে দল থেকে বিতাড়িত করলো।
এরই মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সরকার আবার তাকে গ্রেপ্তার করলো। প্রথমে তাকে রাখা হল কলকাতার আলিপুর জেলে। পরে তার নিজের বাড়িতে তাকে নজর বন্দী করা হল। যদি তুমি সেই বাড়িটি দেখতে চাও তাহলে কলকাতার এলগিন রোডে গিয়ে দেখে আসতে পারো।
এতকিছু করেও সুভাষচন্দ্রকে আটকে রাখা গেল না। ঠিক তিনি ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। প্রথমে গেলেন আফগানিস্তান। তারপর সেখান থেকে মস্কো হয়ে পাড়ি দিলেন জার্মানির রাজধানী বার্লিন।
এতক্ষনে বন্ধু তুমি নিশ্চয়ই বুঝে গেছ ভারতকে স্বাধীন করতে মানুষটাকে নিজের দেশের ভেতরে কতটা প্রতিকূলতার সামনে পড়তে হয়েছে। এবারে চলো জেনে নিই ভারতের বাইরে তার কাজকর্ম সম্পর্কে।
ভারতের বাইরে সুভাষচন্দ্র বসু :-
সুভাষচন্দ্র প্রথমে আসেন রাশিয়ায়। রাশিয়ার নেতা স্ট্যালিনের সাহায্য চাইলেন। কিন্তু স্ট্যালিন নিজেই জার্মান আক্রমণের ভয়ে ব্রিটিশদের সাহায্য চেয়ে বসে আছেন। তাই তিনি সুভাষচন্দ্র কে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সাহায্য করতে কথা দিতে পারলেন না।
সুভাষচন্দ্র বসু কিন্তু এতে পিছু হঠলেন না।
রাশিয়া থেকে তিনি চলে এলেন জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। কিন্তু প্রথম সারির জার্মান নেতাদের কাছ থেকে সুভাষচন্দ্র ভারতকে স্বাধীন করার কোনো পাকাপাকি কথা পেলেন না। ইতিমধ্যেই জার্মানিতে থাকা অবস্থায় সুভাষচন্দ্র ফ্রি ইন্ডিয়া সেন্টার ও ইন্ডিয়ান লিজিওন গড়ে তোলেন।
এবং এই সংগঠনটিকে জার্মান নেতাদের কাছ থেকে দূরে রাখেন। জার্মানির নাৎসি নেতাদের সাথে সুভাষচন্দ্রের চুক্তি হয় যে , ইন্ডিয়ান লিজিয়ন এর সৈন্যদের ইংরেজ দের বিরুদ্ধে ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
এদিকে জার্মানি ও সোভিয়েতের মধ্যে একে অপরকে আক্রমণ না করার একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু হিটলার সেই চুক্তির শর্ত না মেনে সোভিয়েত কে আক্রমণ করে বসেন। তবুও কিন্তু নেতাজী তার ইন্ডিয়ান লিজিওনের সৈন্যদের সোভিয়েতের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দেননি।
এখন তোমার জানতে ইচ্ছা করছে হিটলার মানুষটি কে ? নিশ্চই বলব
হিটলার হলেন জার্মানির একজন প্রবল ক্ষমতাবান নাৎসি নেতা। তার পুরো নাম এডলফ হিটলার। তার ক্ষমতা এতটাই বেশি ছিল যে তিনি পুরো বিশ্বের ওপর তার শক্তি কায়েম করতে চেয়েছিলেন।
যাইহোক , ফিরে আসি আবার আগের কথায়।
হিটলারের সাথে মুখোমুখি দেখা করতে সুভাষচন্দ্রকে ১ বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ১৯৪২ সালে হিটলারের সাথে নেতাজীর দেখা হয়। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধে জার্মানির সাহায্যের কোনো পাকা কথা নেতাজী হিটলারের কাছ থেকে পেলেন না।
আবারোও নেতাজী হতাশ হলেন। কিন্তু তবু হার মানলেন না।
বেরিয়ে পড়লেন জাপানের উদ্দেশ্যে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেইসময় হিদেকি তোজো। তিনি নেতাজী কে ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য করার কথা দিলেন। জাপানের হাতে ২৫,০০০ ভারতীয় যুদ্ধবন্দী ছিল। জাপান সরকার তাদেরকে তুলে দিলো ক্যাপ্টেন মোহন সিং ও রাসবিহারী বসুর হাতে।
এই যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে গঠিত হলো ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগ। ও পরে আজাদ হিন্দ বাহিনী। কিছুদিন পরে এই সৈন্য সংখ্যা ৪০,০০০ হয়ে গিয়েছিলো।
তুমি কি জানো, সুভাষচন্দ্র বসু যখন জার্মানি থেকে জাপানের দিকে যাচ্ছিলেন তখন তিনি সিঙ্গাপুরে যান। সেখানে আর এক ভারতীয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর সাথে তার পরিচয় হয়।
বিপ্লবী রাসবিহারী বসু আজাদ হিন্দ বাহিনীর দায়িত্ব সুভাষচন্দ্রের হাতে তুলে দেন। সালটি ছিল ২৫ শে আগস্ট, ১৯৪৩।
নেতাজীর কাঁধে এক গুরুদায়িত্ব এলো। নেতাজী এই বাহিনীকে ঢেলে সাজালেন। বাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করলেন ঐক্য , নিজের প্রতি বিশ্বাস ও নিজেকে দেশের জন্য ত্যাগের আদর্শে।
আজাদ হিন্দ বাহিনী :-
তাহলে ভারতে ও ভারতের বাইরে নেতাজীর কার্যকলাপ সম্পর্কে তুমি নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছো। বা আমি তোমাকে নিশ্চয়ই বোঝাতে পেরেছি। চলো এবার আজাদ হিন্দ বাহিনী সম্পর্কে কিছু বলি।
নেতাজী এই বাহিনীতে অনেকগুলি ব্রিগেড তৈরি করলেন। যেমন- গান্ধী ব্রিগেড , নেহেরু বিগ্রেড , আজাদ ব্রিগেড , সুভাষ ব্রিগেড (সৈন্যদের অনুরোধে গঠিত ) , ঝাঁসি ব্রিগেড (নারী বাহিনী ) , বাল সেনা ইত্যাদি।
আজাদ হিন্দ ফৌজে হিন্দু , মুসলিম দুধরণেরই মানুষরা ছিলেন। ঝাঁসির রানী বাহিনী আজাদ হিন্দ বাহিনীকে নতুন শক্তি দিয়েছিলো। এটি ছিল একটি নারী বাহিনী।
শাহ নাওয়াজ খাঁ , জি এস ধীলন , পি কে সায়গল , লক্ষীস্বামীনাথন এরা সবাই ছিলেন এই বাহিনীর প্রধান স্তম্ভ। শাহ নাওয়াজ খাঁয়ের নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ন ইম্ফোলে অভিযানে গিয়েছিলো।
এরপর নেতাজী গঠন করলেন অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার। প্রায় ৯ টি দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। জাপান আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ আজাদ হিন্দ সরকারকে দান করে। নেতাজী এই দ্বীপ দুটির নাম রাখলেন স্বরাজ ও শহীদ দ্বীপ। ভারতীয়দের প্রতি তিনি আহ্বান জানালেন তার সেই বিখ্যাত কথা দিয়ে “ তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব “ “Give me blood i will give you freedom” .
১৯৪৪ সালে রেঙ্গুনে (বার্মায় অবস্থিত ) আজাদ হিন্দ সরকারের সামরিক ঘাঁটি গড়ে ওঠে। নেতাজী ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করলেন। সৈন্যদের মনে শক্তি জোগানোর জন্য জয় হিন্দ , দিল্লী চলো শব্দ গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল।
আজাদ হিন্দ ফৌজ মনিপুরে ইম্ফল ও নাগাল্যান্ডে কোহিমা সহ ১৫০ মাইল ভারতীয় এলাকা দখল করে। সবকিছুই ঠিকঠাক এগোচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের অবস্থা খুব খারাপ হয়। তাদের পক্ষে আজাদ হিন্দ বাহিনীকে আর সাহায্য করা সম্ভব ছিল না।
তার মধ্যে সেইসময় বর্ষা থাকায় যুদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। আজাদ হিন্দ বাহিনী নিজেদের সমর্পণ করতে বাধ্য হয়। নেতাজী আর একবার আশা নিয়ে চেষ্টা করলেন। কিন্তু তার আশা পূরণ হল না। চারিদিকে প্রচার হল জাপানের তাইহোকু বিমান বন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছে।
এই মৃত্যুর ঘটনাটি আজ পর্যন্ত রহস্যই থেকে গেছে।
বন্ধু তুমি এটি পড়তে পড়তে এখন ভাবছো যে , নেতাজীর এই স্বাধীনতার লড়াই কি তবে কোনো কাজে আসেনি ?
হ্যাঁ নিশ্চয়ই কাজে এসেছে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর লড়াই দেশের স্বাধীনতা লাভকে এগিয়ে দিয়েছিলো। নেতাজীর ঐক্য , দেশের প্রতি ত্যাগ ও আদর্শ সারা দেশ কে নাড়া দিয়েছিলো। ব্রিটিশ শাসনের ভিতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলো।
নেতাজীর প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে সেইসময় শ্রমিকদের আন্দোলন , বিপ্লবী আন্দোলন , ছাত্র আন্দোলন নতুন শক্তি পায়। তার ফলে আজাদ হিন্দ বাহিনীর অফিসারদের , সৈন্যদের সরকার বিনা শর্তে মুক্তি দেয়।
আজাদ হিন্দ বাহিনীতে হিন্দু , মুসলিম , শিখ সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই ছিল সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই বাহিনী থেকেই শক্তি নিয়ে কিছুদিন পর শুরু হয় নৌ বিদ্রোহ। যা ব্রিটিশ সরকারকে ভারত ছাড়ার কথা ভাবতে বাধ্য করেছিল।
লেখাটি পড়ে তোমার কেমন লাগলো তুমি কমেন্ট করে নিশ্চয়ই জানাবে। এর থেকে আমি আরও উৎসাহ পাবো নতুন কিছু লেখার। ভালো থেকো, আর ইতিহাস পড়তে থেকো।